ওজন কমানোর উপায়। ওজন বাড়াতেও প্রতিদিন কিছু ব্যায়ামের অভ্যাসঃ
বর্তমান বিশ্বে স্বাস্থ্যগত সমস্যার অন্যতম হছে অজনাধিক্ক। ওজন কমাতে যেমন অনেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি কম ওজনের কারণেও অনেক মানুষ ভুগে থাকেন নানা স্বাস্থ্য জটিলতায়।
কম ওজনে্র জন্য যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারেঃ
বয়স ও উচ্চতা থেকে দেহের আদর্শ ওজন হয়ে থাকে। যদি কাহারও ওজন অতিরিক্ত কম থাকে, তবে অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ে সমস্যা হতে পারে, ঘন ঘন অসুস্থতা, রক্তস্বল্পতা, চুল-দাঁত দুর্বল হওয়া, অনিয়মিত মাসিক, ক্লান্তি, অপরিণত শিশু জন্মদানও সমস্যা হতে পারে। তাই সঠিক ওজন বজায় রাখা খুব জরুরি।

করণীয়ঃ
পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ : সামুদ্রিক মাছ, চর্বিহীন দুধ, চর্বিহীন মাংস, খোসাসহ শস্য, ডিম, বাদাম, বিভিন্ন
শস্যের বীজ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং এই খাবারগুলো ২-৩ বার পরিবেশন করুন।
সীমাবদ্ধ খাদ্য তালিকা নয় :
যেসব খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনীয় পুস্টির উপাদান বাদ দেওয়া হয়, সেইসব খাদ্য তালিকা এড়িয়ে চলুন এবং তার পাশাপশি চেষ্টা করুন সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার।
চর্বিহীন পেশি বাড়ান :
ওজন বাড়ানোর জন্য চর্বিহীন পেশি বাড়ানো অতন্ত্য জরুরি। এর জন্য ব্যায়াম, ভারোত্তোলন, কার্ডিওটাইপ ব্যায়াম অনেক সাহায্য করতে পারে।বর্তমানে শহর এলাকায় পাড়া মহল্লায় ও বিভিন্ন মোড়ে আধুনিক ব্যায়ামের সেন্টার (জীম) গড়ে উঠেছে যাতে আমরা সহজেই চর্বিহীন পেশি বাড়াতে পারি ।
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রক হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখুন :
লেপটিন, ইনসুলিন, ঘেরলিন, পেপটাইড—এইসব হরমোনগুলো ক্ষুুধা নিয়ন্ত্রণ করে। লেপটিন ক্ষুধা কমায় আর ঘেরলিন ক্ষুধা বাড়ায়। যাঁরা ওজন বাড়াতে চান তাঁরা অবশ্যই এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।
যেসব ব্যায়াম করবেন : কার্ডিও, স্কোয়াট, লাঞ্জেস, জাম্পিং, ভারোত্তোলন, দেহের ওপরাংশের ব্যায়াম বিশেষ করে পেটের ব্যায়ামগুলো । নিয়মিত করুন ।
খেয়াল করুন
- দৈনিক অন্তত ছয় থেকে আটবার খাবার খাবেন।
- প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে ব্যায়াম করুন। সকালের নাশতার দুই ঘণ্টা পর ব্যায়াম করা ভাল। ভারোত্তোলন দুই কেজি থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে বাড়ান।
- স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখতে সুপেয় পানি পান করতে হবে যেন অন্ত্র পরিষ্কার থাকে।
- সরবতা চেস্ট করে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া যেমন খোসাসহ ফল, সবজি, ডাল ইত্যাদি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখুন।
আরও জানুন মেয়েদের ওজন কমানোর সহজ উপায়