পানি না দিয়ে থুতু ব্যাবহার করে চুল কাটলেন ভারতের এক হেয়ার স্টাইলিস্ট।
ভারতীয় এক হেয়ার স্টাইলিস্ট থুতু দিয়ে চুল কাটলেন। তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন। বিতর্কের মুখে পড়ে তাকে সবার কাচে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। শুক্রবার সকালে এই ঘটনার কথা বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে ।
থুতু দিয়ে কিভাবে চুল কাটা যায়! প্রকাশ্য এই ঘটনা দেখাতে গিয়ে বিসাল এক খারাপ কাজ করেছেন ভারতের বিখ্যাত হেয়ার স্টাইলিস্ট জাভেদ হাবিব। এক নারীর থুতু দিয়ে চুল কাটার কারনে তার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা হয়েছে এফআইআর। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কারণে মাফ ছেয়েও রেহাই পাইনি। এখন গ্রেফতারও হতে পারেন হাবিব।
উত্তরপ্রদেশের বাগপতের যুবতী পূজা গুপ্তা গিয়েছিলেন মুজাফফরনগরে জাভেদ হাবিবের একটি ওয়ার্কশপে। পূজা নিজেও হচ্ছে একটি বিউটি পার্লারের মালিক, সেখানে নানা পরামর্শ দেয়ার মাঝে পূজাকে মঞ্চে ডেকে নেন হাবিব। সে জানান চুলের যত্ন নেয়ার একটি ‘ডেমো’ দেখাবেন। পূজা অনেক খুশি মনেই তার কথাই রাজি হয়েছিলেন। মঞ্চে উথার পর পূজা হাবিবের কথা মতো বসে পড়েন চুল কাটার সিটে। হাবিব চুল কাটের কাজ শুরু করেন । কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ঘটে ওই আপত্তিকর ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পূজা জানিয়েছেন, ‘আমার চুল শ্যাম্পু করা ছিল না।
চুল কাটতে কাটতে ঠিক আমার চুলের মাঝখানে থুতু দিলেন। তারপর বললেন–এ থুতুতে প্রাণ আছে।’ আসলে, হাবিব তাঁকে বোঝাতে চাইছিলেন, পানির অভাবে কিভাবে থুতু দিয়ে চুলের যত্ন করা যায়। তার জন্য তিনি অন্যের চুলের ভিতরে থুতু ছিটিয়ে ডেমো দেখাতে চাইছিলেন। হাবিবের এমন কন্দ দেখে পূজা সেখান থেকে উঠে আসেন। এমন অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন পূজা।
নারীর চুলে থুতু দেয়ার কিছু দিন পরে ভিডিওটি ভাইরাল হইয়ে যাই এরপর চাপে পড়ে ক্ষমা চান জাভেদ হাবিব। বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না বলে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন তিনি। একটি ভিডিওতে হাবিব ‘সেমিনারে কিছু কথা আমি বলেছি।
হয়তো আমার কথায় আপনাদের অনেক আঘাত লাগতে পারে। আমি একটা কথাই বলতে চাই, এগুলো পেশাদারী ওয়ার্কশপ। এখানে এ পেশার সাথে জড়িত অনেক মানুষরাই আসেন। এক একটি ওয়ার্কশপ দীর্ঘ সময় ধরে চলে। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে একটু রসিকতাও চলে।
তিনি বলেছেন, আমার এমন কাজে কেও যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, অন্তর থেকে তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি দুঃখিত।’
কিন্তু তাতেও মহিলার চুলে থুতু দেয়ার বিতর্কে জল ঢালা যায়নি। ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ বলেই মনে করছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে ডিজির চিঠি লিখে দাবি জানান, ভাইরাল ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে, তা যত তারাতারি সম্ভব তদন্ত করে এটার কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ওই মহিলাও থানায় অভিযোগ করেন। এরপরই হাবিবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।