আমের বাগান মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে রাজশাহীর (Rajshahi) আম বাগানগুলো। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে এ যেন এক বাগান মালিকদের সোনা রঙাস্বপ্ন আছে। মুকুল গুলো টিকিয়ে রাখার জন্য তারা শুরু করেছেন পরিচর্যা। তৎপর জেলা প্রশাসনও। লক্ষ্য তাদের, মুকুল থেকে বাজারজাতকরণ সব কিছু হবে ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত করে। সেটি নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসন গঠন করেছে বিশেষ তদারকি কমিটি।

ডালে ডালে দেখা যাই আমের মুকুল।
এই যেন প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য। মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে গ্রামের আশপাশ। কৃষি বিভাগের কথা, গেলবারের চেয়ে এবার বাগানে অনেক বেশি মুকুলের সমারোহ। রাজশাহীর বাগানগুলোতে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসাপাতসহ আড়াইশো জাতের আম গাছে মুকুল এসেছে প্রাই শতভাগ। বিষমুক্ত আম উৎপাদন করবে বলে মৌসুমের শুরুতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে প্রশাসন। বাগান মালিকদের আগেই জানানো হয়েছে যে মুকুল পরিচর্যায় ব্যবহার করা হবে না হরমন বা রাসায়নিক জাতীয় কিছু ও ক্ষতিকর কীটনাশক।
বাগানের মালিকরা বলেন, এখানে আমরা কোন ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হবে না। এখানে শুধু জৈব সার ব্যবহার করি। যেহেতু এ বছরে কীটনাশক ছাড়া আম (Mango)উৎপাদন হবে তাই আশা করি এবার ফলন ও স্বাদ বৃদ্ধি পাবে।
ফল গবেষণা কেন্দ্র, বলেন নিরাপদ আম উৎপাদনে, বাগান মালিকের করণীয় সর্ম্পকে অবহিত করছে নিয়মিত।
রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন কথা, কীটনাশক ছাড়া আম উৎপাদন করার জন্য প্রতিটা কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে কৃষকদের ফলন জাতে বৃদ্ধি পাই এই বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম যাতে বাগান মালিকরা তাদের ন্যায্যমূল্যে পাই ও কোন ভোগান্তি ছাড়া বাজারজাত করতে পারেন এই বিষয়ে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
তিনি বলেন,যে কৃষকরা যেন তাদের আমের ন্যায্যমূল্য সঠিকভাবে পায়। সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এছাড়াও রাজশাহীর বাইরে অন্য কোন জেলা শহরে কীভাবে আম পাঠানো যাবে, সে বিষয়ে তাদের সাথে আমরা কাজ করি।
জেলার ১৯ হাজার হেক্টর জমি আম (Mango) চাষ করে গত বছর ২ লাখ সাড়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন করেছিল। তবে এবার এখনো কোন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি কৃষি বিভাগ।