কালোজিরা ! করোনাভাইরাসের নতুন নতুন প্রজাতির আক্রমণে মানুষ আজ দিশেহারা।
কখনও কখনও খুব ভয়ানক হয়ে উঠছে। তাই শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে অনেকেই মাঠে নেমেছেন।
ভেষজ গবেষকদের গবেষণা মতে,বিভিন্ন ধরনের মশলা করোনানার সাথে সাথে আরও অনেক রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে ও লড়াইয়ে ব্যাপক ভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে ।এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গুলো ভিন্ন মাত্রাই বাড়িয়ে সংক্রমণ আটকাতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।

রান্নায় ব্যবহৃত হলুদ, কালোজিরা, গোলমরিচ আদার মতো সব মশলাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন ভূমিকা নেয়।
পটাশিয়াম, ফসফরাস সহ বিভিন্ন রকমের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কালো জিরা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোর দার করতে পারে। বিশেষ করে কালোজিরায় থাকা এসেনশিয়াল অয়েল গুলো খুব দ্রুত সর্দির মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।
কালোজিরা সকল রোগেরই মহাঔষধ।
প্রাচীনকাল থেকে এটি ব্যাপক আকারে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কালোজিরায় ( Black Seed Oil) রয়েছে-ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস ছাড়াও জীবাণুনাশক উপাদান।
কালোজিরা তেল
এছাড়া কালোজিরা খেলে ডায়াবেটিস সহ, উচ্চ রক্ত চাপ, একজিমা, এলার্জি এগুলো রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।আর কালো জিরায় ভিটামিন, স্ফটিকল নাইজেলোন, অ্যামিনো অ্যাসিড, স্যাপোনিন, ক্রুড ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো লিনোলেনিক,
ওলিক অ্যাসিড, উদ্বায়ী তেল, আয়রন, সোডিয়াম,বিশেষ পরিমানে রয়েছে ।
আয়ুর্বেদ মতে, অল্প পরিমান কালোজিরা পাতলা কাপড়ে পুঁটলি করে ভাল করে ঘষে শুঁকলে নাক ও গলায় জমে থাকা সর্দি আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে।
পাবমেডে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে জানা গিয়েছে যে নিগেলা সাটিভা এল (কালোজিরের বিজ্ঞান সম্মত নাম) থেকে যে অয়েল পাওয়া যায় তাতে ৩৭.৩ শতাংশ প্যারাসাইমিন ও ১৩.৭ শতাংশ থার্মোক্যুইনিয়ন আছে।
এছাড়া প্রাণীদের দেহে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই উদ্বায়ী তেল গুলো অ্যানাল জেসিক এবং অ্যান্টিইন ফ্ল্যামাটরি গুনা গুন সম্পর্কে প্রায় যথেষ্ট ভাবে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
বাজারে যেসব কালো জিরার তেল গুলো পাওয়া যায় আর তাতে প্রায় ঔষধি গুনা গুন প্রায় থাকে না বললেই চলে ।আর তাই কালো জিরা থেকেই সরাসরি তেলগুলো বের করে তা ব্যবহার করা উচিত।
এছাড়া কালো জিরার তেল তেল হিসেবে ব্যবহার করার চেয়ে শুকনা কালোজিরা ভালো করে বেটে ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খাওয়াটা সবচেয়ে ভালো।
কালো জিরার তেল ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুব ভাল কাজ করে থাকে।
এছাড়া প্রতিদিন সকালে এক কাপ চায়ের সঙ্গে অল্প পরিমান তেল মিশিয়ে পান করুন।
এছাড়া ডায়েটের জন্য ও কালোজিরার তেল ভাল কাজ করে থাকে।তাছাড়া রুটি ও তরকারিতে ও এটি ব্যবহার করা যেতেই পারে ।তবে অনেকেই মধু আর পানির সঙ্গে মিশিয়ে ও খান ।
কালোজিরার তেল ওটমিল আর টক দই এর সঙ্গে যুক্ত করে খেলে বেশী উপকার পাওয়া যায় ।
এছাড়া লেবুর রস আর কালোজিরার তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার থেকে সমাধান পেতে পারেন।আর লেবুর রস এবং কালোজিরার তেলটা ভলভাবে মিশিয়ে দিনে প্রায় নিম্নপক্ষে দুই বার মুখে লাগাবেন।এতে ত্বকে ব্রণ আর বন্রের দাগ
সম্প্রন মিলিয়ে যাবে।
সরিষার তেলের সঙ্গে কালোজিরা তেল এক সাথে গরম করে শরীরের জয়েন্টগুলোতে ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
এছাড়া কালোজিরায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায়, আপনার লিভারকে সুরক্ষিত করতে ভালো ভাবে সহায়তা করে।আর কালোজিরা প্রাকৃতিকভাবে রাসায়নিকের বিষাক্ততা ও কমাতে পারে।
তাছাড়া লিভার ও কিডনির বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।
নিয়মিত কালোজিরা শিশু কে খাওয়ালে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। কালোজিরা শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও ব্যাপক কাজ করে।
আরও জানুন কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম।
Thanks