প্রকৃতি নিয়ে ক্যাপশন।

প্রকৃতি নিয়ে ক্যাপশন। দলবেঁধে সবাই কোথাও যাওয়া হচ্ছে আনন্দের উৎসব। একা একা ঘুরে বেড়ানো উৎসব হয় না। তখন বিচ্ছিন্ন জীবনের আর্তনাদ ধ্বনিত হয় বুকের ভেতর। তখন ভালো লাগার আনন্দ নষ্ট হয়। সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া বুনোপাখিও আনন্দের জোয়ারে ভাসায় না। এই জন্য আশিকা কোথাও একা যাওয়ার প্রোগ্রাম মেনে নিতে চাইনা। গাছের নিচে একা চুপ করে বসে থাকলে বুকের ভেতরটা জমাট হয়ে উঠে। পাথরের স্তর যেন, যে-স্তর ভেঙে এগোনো খুব কঠিন। এ জন্য দলের দায় কখনো ওকে একাই বেশি টানতে হয়। এই টানাটাকে ও একটা নিয়মের মাঝে নিয়ে আসছে। মন খারাপ করে না। টাকা জমায় বছর বছরজুড়ে। টের পায় যে এটাতেও আনন্দ আছে।

প্রকৃতি নিয়ে কবিতা।

এর মাঝে নিজের ইচ্ছা গুলো পূরণ হয়। ইচ্ছা পূরণ তো স্বপ্নের তার মতো। আশিকা এমন ভাবনার সঙ্গে হাততালি বাজায়। দু-হাতে তার গাল জোরে চেপে ধরে। কপালে দুই হাত বুলোয় দেয়। মধ্যরাতে যদি তার হটাত ঘুম ভেঙে যাই তাহলে নিজেকে বলে, ইচ্ছা তুমি ঘুমিও না। জেগে থাক। আমরা হাত ধরে হেঁটে যাব দামতুয়া ঝর্ণার ওখানে। সেখানে পাথরের ওপর বসে থেকে মনের আনন্দে জলের স্রোত দেখব। অনেক দূরের পাহাড় দেখব। নীল আকাশকে বলব, আকাশ তুমি আমার মাথার ওপর ছায়া হয়ে থাকবে। পেঁজা তুলোর মতো মেঘ পাঠিও আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আকাশ তোমাকে আমি আমার বন্ধু মনে করি। তোমার দিকে যখন তাকিয়ে থাকি তখন আমার সামনে নানা ছবি ভেসে ওঠে। সেই ছবি ধরে আমি আনন্দে মনের ডানায় উড়তে পারি।

প্রকৃতি নিয়ে উক্তি।

ভাবনার মাঝে ঘুম আসে আশিকার। ও গভীর ঘুমে ডুবে যায়। সূর্য না ওঠার আগে ওর ঘুম ভাঙে না। ঘুম ভাঙে বেলা ওঠার অনেক পরে। হামিদা বানু দুইবার এসে দেখে গেছে আশিকাকে। গভীর ঘুমের মধ্যে আছে দেখে ডাকেনি। খেয়াল করে ওর চেহারায় মনের আনন্দের জ্বলজ্বলে আভা ফুটে উঠছে। হামিদা বানু দুই বুঝে যায় যে, মেয়েটি কোথাও যাওয়ার জন্য জাইগা বাছাই করেছে এ জন্য এমন খুশিতে ভরে আছে। প্রকৃতি নিয়ে ক্যাপশন।

মেয়েটাকে কাছে থেকে দেখার এটাই একটা আনন্দ। তাঁকে দেখেলে বোঝা যায় ওর মনের ছবি। হামিদা বানু আশিকার মনের ছবি গুলো দেখে নিজেকে আপ্লুত করে। তারা ভাবে, মেয়ের আনন্দ নিজের মধ্যে রেখে দিন কাটানো এক অন্য ধরনের আনন্দ। নিজেও ঘুরতে না গেলে কিছু যায়-আসে না। মেয়ের চেহারায় ফুটে ওঠা খুশির আনন্দ তাকে বাইরে ঘোরার আনন্দের মধ্যে ভরিয়ে তোলে। হামিদা বানু আশিকে অনেক কৃতজ্ঞ প্রকাশ করে ।

নাস্তা করার সময় হামিদা বানু সরাসরি জিজ্ঞেস করে, কী রে কোথায় যাবি বলে ঠিক করেছিস?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *