চুল পাকা রোধের কয়েকটি উপায় !

অকালে চুল পাকা এই সমস্যা এখন প্রতিটা ঘরে ঘরে দেখা যায়। খাদ্যাভ্যাস, দুঃশ্চিন্তা, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত খাবার না খাওয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা হতে পারে। চুল পাকা রোধের কয়েকটি উপায়।

চুল পাকা রোধের কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়:

প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসেই অনেক ধরনের উপাদান দিয়ে চুলের অকালপক্কতার চিকিৎসা তৈরি করা সম্ভব। নিম্নে এগুলো বর্ণনা করা হলো।

মাথার চামড়া ও চুলে পেঁয়াজ বাটার ম্যাসাজ:

পেঁয়াজ বাটা চুল পাকা প্রতিরোধে এটি খুব বেশি কার্যকরী উপাদান। এজন্য যা আমাদের যেটা করতে হবে তাহলো পেঁয়াজ ভালো ভাবে বেটে মাথার চামড়ায় ও চুলে ভাল করে লাগাতে হবে। পেঁয়াজ বাটা যখন শুকিয়ে যাবে তার ৩০ মিনিট রেখে পরে চুল ও মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে পেঁয়াজ বাটা পতিদিন মাথাই দিলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পাকাচুল কালো হতে শুরু করবে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

মাথার চামড়ায় আমলকি ও লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় যে ভাবে দিবেন

আমলকি ও লেবু এই দুটো ফল যেমন, হদপিন্ডের সমস্যা ইত্যাদি কমায় এর পাশাপাশি মাথার ত্বকের জন্যও প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগান দেয়। কম বয়সে চুল পাকা প্রতিরোধে আমলকির গুঁড়ার সাথে একটু লেবুর রস মিশ দিয়ে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে মাথার চামড়ায় লাগিয়ে দিবেন পরে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিলে চুল পাকা অনেকটাই রোধ হয়।

নারিকেল তেল এবং লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় যে ভাবে দিবেন

চুলের যত্ন নেওয়ার ভিতরে নারিকেল তেলের অনেক ভুমিকা রয়েছে । পাকা চুলের হাত থেকে বাচতে হলে প্রতিদিন চা চামচ এর ৪ চামচ নারিকেল তেলের সাথে ২ চামচ আর হাফ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় এবং মাথার চামড়ায় লাগাতে হবে। এভাবে পতিদিন লাগালে দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাকা চুল কালো হতে লাগবে। এতে একদিকে মাথার চামড়া সুস্থ ভালো থাকবে অপরদিকে চুলে খুশকিও হবে না এবং চুল হবে সুন্দর।গাজরের জুস পান করা:

গাজর হচ্ছে একটি পুষ্টিকর সবজি। এটি আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের যোগান দেয়। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। গাজরের সাথে চিনি ও পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে জুস তরী করতে হবে প্রতিদিন অন্তত একগ্লাস করে যদি খাওয়া যায় তাহলে পাকা চুলের সমস্যায় অনেক উপকার পাওয়া যায়। শুধু চুলের জন্য উপকারি না, এটা শরীরকে সুস্থ রাখতেও গাজরের করা জুস অনেক সাহায্য করে। ত্বক সুন্দর ও লাবন্যময় রাখতেও এর বিশেষ ভুমিকা রয়েছে ।

উপরে যে সব কথা গুলা বলা হয়িছে সে গুলো অনুসরণ করে সহজেই ঘরে বসে অকালে চুল পাকা রোধ করা সম্ভব। যেহেতু পুষ্টিহীনতা, ঘুম কম হওয়া, অতিরিক্ত টেনশন ইত্যাদির কারণে অল্প বয়সে চুল পাকে, তাই এই সমস্যা দূর করার জন্য প্রচুর শাকসবজি খাওয়া, সময় মতো ঘুমানো,অতিরিক্ত বেশি চিন্তামুক্ত করা জাবে না এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা ও খুবই গুরুত্বপুর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *