সিরাজগঞ্জ জেলার কৃষি সংবাদ কৃষি শিক্ষা।
দফায় দফায় বন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার প্রায় ১৬ হাজার কৃষকের এর প্রায় ৩৭ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে চলতি মৌসুমে। এখন উপজেলা কৃষি অফিস ইতোমধ্যে ক্ষতি নিরূপণ করছেন।
কাজিপুর উপজেলার এক কৃষি অফিস থেকে বলছেন, প্রথম দফা যে বন্যায় প্রায় ১২ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন,করেন পাট, শাকসবজি, মরিচ ও ভুট্টার চাষ করেন।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে সাথে সাথে কৃষকরা আবারো জমিতে তারা নানা ধরনের ফসলের চাষ করছেন। কিন্তু তার তিন সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা বন্যার কারণে কৃষকের সবজি, কালাই, মরিচ, ভুট্টা, কলা মিলে প্রায় সব পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পানি যখন আবারো নেমে যাই তখন পলি সমৃদ্ধ জমির আশায় বুক বেঁধে কাজিপুরের কৃষক গাইনজা, করঙ্গা ধান রোপণ করেন। সেই সাথে তারা মরিচ ও মাসকলাই বুনে রাখছেন।
কিন্তু চতুর্থ দফা বন্যায় আবারও ফসল পানিতে ডুবিয়ে যাচ্ছে।
আর ১৫ দিন পর মৌসুমের শেষ বানের পানিতে আবারও কৃষকের স্বপ্ন পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।শেষ বন্যার কারণে আগে কাজিপুর উপজেলা থেকে কৃষি অফিস নিজেরা ধানের চারা রোপণ করে তারা বিনামূল্যে কৃষকের মাঝে ভাগ করে দেয়।
তাও শেষ হয়ে গেছে সব।নাটুয়ারপাড়ার এক কৃষক রফিক, খাশরাজবাড়ির জয়নাল আবেদিন বলছেন ‘আমাদের এখন আর চাষ করার মতো কোন অবস্থা নেই সব শেষ হয়ে গেছে।
‘নতুন মাইজবাড়ির লিমন মিয়া বলছেন, ‘সমিতি থেকে ঋণ নেওয়ার পরে শেষবার মতো সরকারি চারা নিয়ে আসে তিন বিঘা জমিতে লাগাইছিলাম। কিন্তু ১০ দিনের মাথাই সব পানিতে ডুবে সব শেষ। এখন আর ধান নাই, কিন্তু ঋণ থেকেই গেল।
এদিকে পানি নেমে যাওয়ার পরে কিছু নদীর কোলা।
পলিসমৃদ্ধ কিছু জমি, আবার এখন নদীর খাড়িতে গাইনজা ধানের চারা লাগাছেন কৃষকরা। তবে টানা চাষ করার পরে মার খেয়ে যায় তারপর প্রচণ্ড অর্থকষ্টের কারণে কৃষক আর চাষে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন না।
কাজিপুরের কিছু সাতটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের কৃষকদের অবস্থা হইছে রফিক, জয়নালদের মতোই কিছুটা।কাজিপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলছেন, ‘ইতোপূর্বে সরকারিভাবে তাদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়ে ছিল। কিন্তু নতুন কোন সরকারিভাবে তেমন কোনো কিছু প্রণোদনার ঘোষণা এখনো দেয়নি।
আরও কৃষি সংবাদ পড়তে ক্লিক করুন এখানে।