চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ছড়িয়ে পড়ছে সরিষার ফুলের শুভাস ও হলুদ আভা। সে আভায় স্বপ্ন বুনছেন সেখানকার অনেক কৃষকরা। একদিকে সরিষার করছে আর অন্যদিকে মৌসুমী মধু চাষ করে শত শত কৃষকের কপাল খুলেছে।

উপজেলার হাউলী গ্রামে আজিজুল ও জান মহাম্মদ তারা বলছেন, গত বছর সরিষা চাষ করে সরিষার ফলন খুব ভাল পেয়েছিলাম এবং বাজার দরও
খুব ভাল ছিল। প্রতিবছর সরিষা চাষ করি নিজেদের ভৈজ্য তেলের চাহিদা মেটানর জন্য এই থেকেই কিছু বাইরে বিক্রি করা হয়। কার্তিক মাসে সরিষা বুনানী করেছিলাম। আগেই বুনানীর কারণে সরিষায় ফুল আসা শুরু হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে যদি আবহওয়া অনুকুলে থাকলে সরিষার ফলন ভালো হবে মনে করে এই আশায় বুক বেঁধেছে অনেক কৃষক। আমরা আরো বেশি লাভের আশা করে আছি। মৌসুমের শুরুতেই
ভালো ভালো বীজ শনাক্ত করতে হবে আর সঠিক সময়ে বীজ রোপণ করে সঠিকভাবে তার রোগ নির্ণয় করতে হবে রোগ নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন রকমের সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করে এবং পরের ফলনগুলি ফলিয়ে সেটা আবার বাজার জাত করতে পার্লেই তবে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতে পারলে আমরা আরো অনেক বেশি লাভ করতে পারব বলে মনে করছি। এক বিঘা ভুইয়ে সরিষা চাষ করতে খরচ হবে এক থেকে দেড় হাজার টাকা মতো।যদি ভালো ফলন হয় তাহলে এক বিঘায় ৪-৫ মণ সরিষা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। প্রতি মণ সরিষার বাজার মূল্য হয় ১৫-১৮ শত টাকায় বিক্রি হবে।
অন্যান্য ফসল চাষ করাই প্রতি বিঘায় যে পরিমাণ লাভ হয়ে থাকে তার চেয়ে ওই একই পরিমাণ জমিতে যদি সরিষা চাষ করা যাই তাহলে দিগুণ লাভ করা যায়। এটা চাষ করে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির জন্য এর ফুল ও পাতা ঝড়ে গিয়ে যে গুলা জমিতে পরে থাকে সেটা থেকে তোড়ী জৈব সার। এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে আশা করছি।
যুগ-যুগ ধরে গ্রামীণ জনপদের চাষী তারা প্রতিবছর তাদের পরিবারের জন্য ভৈজ্য তেল ও সংসারের স্বচ্ছতা ধরে রাখতে সরিষার আবাদ করে তাদের কাছে জনপ্রিয়তার কোন কমতি নেই। এ আবাদে যদি চাষীদেরকে আর একটু উৎসাহ দেওয়া যাই তাহলে সারা বছর পাওয়া যাবে খাঁটি ভৈজ্য তেলের অফুরন্ত ভান্ডার।