কলা খাওয়ার উপকারিতা

রোগ সারাবে কলা কলা উপকারিতা

কলা এমন একটী ফল যা স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে। কাঁচা পাকা দুই রকম কলাই পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য ভালো। কলা মিষ্টি হওয়াতে অনেকেই ভাবেন যে এটি ক্যালরি বাড়িয়ে মোটা করে দিতে পারে শরীরকে। কিন্তু এধরনের ধারণা ভুল। রকম ভেদে কলার গুণাবলি ও পরিবর্তন হয়ে যায়। কলার পুষ্টিমান এবং গুণাবলি জেনে নেওয়া যাক।

কলা উপকারিতা


কাঁচা কলার গায়ের রঙ সবুজ থাকে এবং আস্তে আস্তে পুষ্ট হোয়ে যখন পেকে যায় তখন হলুদ রঙ ধারণ করে। ফলে এর পুষ্টিগুণ ও পরিবর্তন হয়ে যায়।

সবুজ কলাতে রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ এর পরিমাণ বেশি এবং শর্করার পরিমাণ কম থাকে। এছাড়া এতে অ্যামিনো অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো সব প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সঠিক পরিমাণে বিদ্যমান ঠাকে।

পাকা কলায় রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ এ শর্করায় পরিবর্তন হয়। কলার রং হলুদ হওয়ার জন্য এতে আরও অধিক পরিমাণ শর্করা ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বিদ্যমান থাকে।
একটু বেশি পেকে গেলে কলাতে অধিক পরিমাণের শর্করাও বেড়ে থাকে। যে কলা যত বেশি পাকা থাকবে মানে এর রঙ যত ছোপ ছোপ খয়েরি কালার রঙ ধারণ করবে,এর শর্করার পরিমাণ ততো বেশি বিদ্যমান থাকবে। সুতরাং অধিক পাকা কলা মানে খয়েরি রঙ ধারণ করা কলা তে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।

কলা সবাই খেতে পারেন এতে কোন বাঁধা নাই, এমনকি ডায়াবেটিস রোগীদেরও কোন না নেই । সেক্ষেত্রে তাদের খাবারের তালিকায় যে ফল থাকবে তার মধ্যে ৫০-৭৫ গ্রাম কলা খাওয়া যাবে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে পাকা কলা নিয়মিত খেয়ে তাদের এই রোগ অনায়াসে আয়ত্তে আনতে পারেন।
কখন, কীভাবে খাবেন

চেষ্টা করবেন সবসময় ভারী খাবারের পরে খাওয়ার। ১/২ ঘণ্টা পর খেতে পারেন।এতে আছে প্রচুর ফাইবার তাই ভারী খাবারের সাথে খেলে শরীর নিতে পারবে না সহজে। আপনি চাইলে একে স্মুদি করে ও খেতে পারেন এমনি খেতে না চাইলে ওটস এবং একটু তরল দুধ মিশিয়েও স্মুদি বানিয়ে খেয়ে নিতে পারেন।এটাও অনেক উপকারী শরীরের জন্য। তাই আপনি চাইলে খাবারের পাশাপাশি এই কলা ও রাখতে পারেন। এতে করে আপনার শরীর যেমন সুস্থ থাকবে।সাথে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি ও কমবে।

আরও জানুন

2 thoughts on “কলা খাওয়ার উপকারিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *